রাজ্যের কোনো প্যান্ডেলেই দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। ঐতিহাসিক রায়ে সোমবার এমনই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণে একটি জনস্বার্থ মামলায় এ দিন হাইকোর্ট বলে, ‘রাজ্যের ছোটো, বড়ো সমস্ত পুজো প্যান্ডেলই নো এন্ট্রি বাফার জোন, প্যান্ডেল এরিয়ায় থাকবে ব্যারিকেড। লেখা থাকবে নো এন্ট্রি জোন।’ হাইকোর্ট জানিয়েছে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তারা মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। তা-ও এক সঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি নয়। পাশাপাশি এ দিন হাইকোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে প্রশাসনকে।
পুজোয় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল চিকিত্সকমহল। এর পরই রাজ্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়। শুনানিতে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা। পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য গাইডলাইন তৈরিতেও মুখ্য এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘তিন হাজার পুজোমণ্ডপ আছে। ৩০ হাজার পুলিস আছে। খুব বেশি হলেও তা ৩২ হাজার হতে পারে। ফলে ট্রাফিক কন্ট্রোল, রোজকার বিভিন্ন তদন্তের কাজ করে তিন হাজার পুজোমণ্ডপে ভিড় সামলানো সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ একাধিক পরিষেবা নেই।’ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এ বার পুজোর ভার্চুয়াল কভারেজ হোক। সাধারণ মানুষ অনলাইনে দেখবেন। প্যান্ডেলের জায়গাটি ব্যারিকেড করতে হবে। সেখানে ‘নো এন্ট্রি’ লিখে দিতে হবে।
মণ্ডপে কারা ঢুকতে পারবেন, আগে থেকে তার তালিকা তৈরি হবে। সেই তালিকা অনুযায়ীই মণ্ডপে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে, এ দিন এমনই জানিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ে যে সচেতন নাগরিকরা যারপরনাই খুশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Facebook Comments