দুর্নীতির নয়া হদিস। তদন্তের যতো গভীরে প্রবেশ করা হচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে কী ভাবে আর কতটা জুড়ে বিস্তৃত ছিল রেশন দুর্নীতির জাল। ইডির অভিযোগ, যেন একটা সমান্তরাল পরিকাঠামো তৈরি করেই মাঠে নেমেছিল রেশন দুর্নীতির কারবারিরা।
ইডির অভিযোগ, ‘গণবণ্টন ব্যবস্থার’ এই সমান্তরাল পরিকাঠামোর জন্মদাতা বাকিবুর রহমান। ডিস্ট্রিবিউটার থেকে রেশন ডিলার, সব গুটি নিজেদেরমতো করে সাজিয়ে খেলায় নেমেছে তারা। আর এই ‘অসাধু’ সিস্টেম খাদ্য দফতরের কর্মরত একাংশের সহায়তা পেয়েছে। খাদ্য দফতরের যেমন নিজস্ব গুদাম থাকে, সেই ধাঁচেই তৈরি হয় গুদাম।
ইডির দাবি, এই সিস্টেম চালাতে জেলাগুলিতেও বাকিবুর বেছে নিয়েছিলেন খাদ্য সামগ্রি ব্যবসায়ী থেকে রেশন ডিলারদের। রেশনে সরবরাহের আগে যে চাল গম সরানো হত এমন নয়, রেশনে গ্রাহকদের সামগ্রি থেকেও কাটছাঁট করে উদ্বৃত্ত পৌঁছাত বাকিবুরদের হাতে।
এছাড়াও ইডির অভিযোগ, প্যারালাল সিস্টেম চালানোর জন্যই মন্টু সাহাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাজে লাগানো হত। তারা চাল কল, গম কল করেছিলেন। শুধু তারা নয় একাধিক জেলাতে এই সিস্টেম চালাতে জেলার খাদ্য দফতরের একাংশের সাহায্যে ‘বাকিবুর মডেল’ তৈরি করে ফেলা হয়।
এমন কি উত্তর ২৪ পরগনার কোন ডিলার কত পরিমাণ সামগ্রি পাবেন, তাও ঠিক করে দিতেন বাকিবুর, অভিযোগ ইডির। আর এতে মন্ত্রীর হাত যে মাথাতেই ছিল তদন্তে স্পষ্ট ইঙ্গিত ইডির।
Facebook Comments