সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন কলকাতার আকাশ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে শহরে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা যথাক্রমে ৩৪ এবং ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার সর্বাধিক এভিব সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮৮ এবং ৬০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ০০০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন শুধু কলকাতার পাশাপাশি সংলগ্ন জেলাগুলিতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী কয়েকদিন শহর তথা রাজ্যের আবহাওয়া কেমন থাকবে?
এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর বলেন, “এই মুহূর্তে ওডিশা, বিহার এবং ছত্তিশগড়ের উপর একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। সেই নিম্নচাপের আকর্ষণেই উত্তর পূর্ব ভারত থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু দ্রুত প্রবেশ করছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গেও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই অবস্থা আপাতত জারি থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “২৩ জুন রাতের দিকে বাংলায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে। প্রথমদিকে মৌসুমী বায়ু খুব একটা সক্রিয় থাকবে না। জুনের শেষদিক থেকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। এ বছর মৌসুমী বায়ু দেরিতে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করলেও, প্রচুর বৃষ্টিপাত সংঘটিত হবে এর জেরে। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ।
তাঁর কথায়, “বাংলার পাশাপাশি বিহার, ওডিশা এবং ছত্তিশগড়েও প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাত্ আমরা এ বছর ১৪০-১৪৫ শতাংশ বৃষ্টিপাত পাব।” গরম থেকে কি রেহাই মিলবে? বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুন থেকে দ্রুতগতিতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
তবে চলতি বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সুজীব কর। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি Monsoon। North East India থেকে মৌসুমী বায়ুকে আকর্ষণ করছে ওডিশা, বিহার ও ছত্তিশগড়ের উপর থাকা নিম্নচাপ। তাই হালে যে বৃষ্টি হচ্ছে তাকে Monsoon Rain বলা হচ্ছে। তবে ২৩ জুনের পর South Bengal -এও পুরোপুরি সক্রিয় হবে বর্ষা।
Facebook Comments