চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন অর্পিতার গাড়িচালক প্রণব ভট্টাচার্য। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন রাতেই অর্পিতাকে পার্থের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসতেন তিনি। গাড়িচালক প্রণবের ভাষ্য, ‘প্রায় দিনই রাতে ম্যাডামকে (অর্পিতা) নিয়ে যেতাম নাকতলায়, স্যারের (পার্থ) বাড়িতে। নামিয়ে দেওয়ার পরে ম্যাডাম আমাকে বলতেন- চলে যাও, থাকার দরকার নেই।’
তার দাবি, ‘সন্ধ্যায় ম্যাডামকে নাকতলায় নিয়ে যাওয়ার পর ম্যাডাম কখনও গাড়ি রেখে আমাকে ফিরে যেতে বলতেন, কখনও আমি গাড়ি নিয়েই ফিরে আসতাম। কখন, কত রাতে, ম্যাডাম ওখান থেকে বের হতেন, কীভাবে ফিরতেন জানি না।’ প্রণবের দাবি, বেহালার ম্যান্টনে পার্থের দলীয় অফিসেও তিনি অনেক রাতে অর্পিতাকে পৌঁছে দিয়েছেন। ওনি কতক্ষণ ওখানে থাকতেন, কী খেতেন, কখন ফিরতেন, এত সব জানা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, চেষ্টাও করিনি।
এদিকে, অর্পিতা-পার্থের সম্পর্ক নিয়ে গাড়িচালকের এমন বক্তব্যের মধ্যেই শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাদের আরেকটি ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, নামি একটি গয়নার দোকানে গিয়ে গয়না পছন্দ করছেন তারা। দুজনের মুখে মাস্ক। অর্পিতার পরনে শাড়ি।
অর্পিতা চড়তেন হুন্ডা সিটিতে। মার্সিডিজ বেঞ্জ ও মিনি কুপার আগে থাকলেও গাড়িগুলো বেশ কদিন প্রণবের চোখে পড়েনি। বেশিরভাগ সময় হুন্ডা সিটিতে ম্যাডামকে চাপিয়ে সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যেতেন কসবার ‘ইচ্ছে’ অফিসের বাড়িতে। কয়েক দফা নেল আর্টসের পার্লারে নিয়ে গেছেন, দু-একবার বেলঘরিয়ার পার্লারেও যেতে হয়েছে। অলটুরাস গাড়িটা চালাতেন কল্যাণ নামের এক যুবক। সেই কল্যাণ পার্লারের কাজ দেখাশোনা করতেন। প্রণবের দাবি, বেলঘরিয়ায় তিনি কখনও ফ্ল্যাটের অন্দরে ঢোকেননি।
Facebook Comments