শীত এলেই কমলালেবু, নলেন গুঁড়, গুঁড়ের মিষ্টি, পায়েশ, পিঠে এইসব খাবারের নাম আগে মাথায় আসে। আরেকটি দুর্দান্ত খাবার আছে যেটিকে আট থেকে আশি সক্কলে পছন্দ করেন। যার আনাগোনা শুরু হয়ে যায় ডিসেম্বর থেকে। বিশেষ করে ২৫ শে ডিসেম্বরের দিন এর চাহিদা গিয়ে দাঁড়ায় আকাশছোঁয়া। সেটি হল আমার আপনার পছন্দের ‘কেক’। ২৫শে ডিসেম্বর উপলক্ষে যেই কেক আমরা খেয়ে থাকি তা সাধারণত ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি হয়। জন্মদিনের কেকের থেকে একদমই আলাদা এই কেক।
এই বিশেষ উৎসবে বাদ যায়না বেকারির কেকও। নামি দামি কোম্পানির কেকের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বিক্রি হয় বেকারির আধা পোড়া কেক। যার উপরে থাকে ড্রাই ফ্রুটসের বাগান। গায়ে রঙিন কাগজের মোড়ক। সব মিলিয়ে এক উৎসবের আমেজ।
খাবার নিয়ে যারা রিসার্চ করেন তাঁদের কথা অনুযায়ী, প্রাচীন ঈজিপ্টশিয়ানরা, প্রথম কেক বানানোর পদ্ধতি আনেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে, ইংলিশ অক্সফোর্ড ডিক্সেনারি প্রথম আবিস্কার করে ‘কাকা’ শব্দ। যার মানে হল ‘কেক’। মধ্যযুগীয় ইউরোপীয়নদের হাত ধরে আজ কেকের প্রাচুর্য সারা বিশ্বে। যে কোন অনুষ্ঠানের শুরুতেই থাকে ভিন্ন স্বাদের কেক। বিশেষ করে যারা ফ্রুট কেক খেতে বেশি পছন্দ করেন তাঁদের জন্য খ্রিস্টমাসের কেক অন্য মাত্রা এনে দেয়।
রূপোলী ফয়েলে ঢাকা চৌক, গোল কেক মন কেড়ে নেয় প্রত্যেকের। এর মধ্যে থাকা মাখনের গন্ধ আর কাজু কিসমিস মোরব্বার টুকরো জিভকে দেয় পরিতৃপ্তি আর মুখে যোগায় হাসি।
নামি-দামি কেকের কোম্পানিরা সুন্দর মোড়কে তাঁদের কেক পরিবেশন করেন। কিন্তু বেকারির কেক গুলো থাকে উন্মুক্ত।প্রথমে চোখে দেখে একে উপভোগ করা যায়। তারপরে চলে যায় সরাসরি পেটে।
বড় কেক কোম্পানিগুলোর কেকের চাহিদা নেহাত মন্দ নয়। তবুও বাজিমাত করে দিতে পারে ছোটখাটো বেকারির রঙিন কাগজে মোড়া কেক। কারণ, এই কেক গুলো খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমন দামেও মোটামুটি সস্তা।
২৫শে ডিসেম্বর থেকে ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত চলে কেকের উৎসব। এই সময়েই বেশি বিক্রি হয় ফ্রুট কেক। কারণ, শীতের মরশুমে এই ধরনের কেক বহুদিন পর্যন্ত টাটকা থাকে আর খেয়েও পেট ভরে। ফলে এই কেকের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এইবার খ্রিস্টমাসে যত খুশি খান মজাদার ফ্রুট কেক।
Photo- Koyel Pal Sinha
Facebook Comments