সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”রামপুরহাট দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, কেউ ছাড় পাবে না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, ”সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওসিকে ক্লোজ করেছি। সিট গঠন করেছি। অ্যাকশন নিতে আমরা কোনও কালার দেখি না।” আগামীকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে সোমবার মধ্যরাতে এলাকার একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সোমবারই রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন।
অভিযোগ, অনুব্রতর গড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় তাঁকে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিত্সক ভাদু শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই গ্রাম। এই ঘটনা তারই পরিপ্রেক্ষিতে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বুধবার সকালে বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন মহম্মদ সেলিম । ঘটনাস্থলে পৌঁছেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, ”রামপুরহাটে যখন খুন হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ তখন পাশেই ছিল পুলিশ।” তাঁর এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেলিম ছাড়াও এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং রামচন্দ্র ডোম।
মঙ্গলবার রাতেই রামপুরহাট পৌঁছন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এরপর এদিন পুলিশের নজর এড়িয়ে বাইকে চেপে বগটুই গ্রামে পৌঁছন সেলিম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন বাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মহম্মদ সেলিম বলেন, ”নবান্নের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ চলে না। সেই পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে কী করে? এখানে যখন খুন হচ্ছিল তখন পাশেই ছিল পুলিশ।”
একইসঙ্গে CPIM রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, ”সমস্ত তথ্য প্রমাণ অসুরক্ষিত রয়েছে। প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” এদিন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ”গণহত্যায় অভিযুক্তদের মানুষের দরবারে বিচার হওয়া উচিত।
Facebook Comments