গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল লক্ষাধিক টাকার লটারি পুরস্কার পেয়েছেন, দাবী CBI’র। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলের নামে 50 লক্ষ টাকার নতুন লটারি পাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গরু পাচারের মামলার তদন্ত করে লটারি যোগ করার দাবী জানিয়েছে সিবিআই। তিনি দাবী করেন, এর আগে অনুব্রত ও সুকন্যার নামে 8টি লটারি পেয়েছেন তিনি।
সিবিআই এর আগে দাবী করেছিল যে এই বছর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে লটারির পুরস্কার গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দাবী করেছে যে দুই ব্যক্তির উভয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট 51 লক্ষ টাকা জমা হয়েছে।
এর বাইরে সিবিআইয়ের দাবী, তিন বছর আগে লটারির মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে 10লাখ টাকা এসেছিল। বারবার লটারি জেতার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সিবিআই তদন্তকারীরা এবার দাবী করেছেন যে “সুকন্যা 20 জানুয়ারী লটারি থেকে 50 লক্ষ টাকা জিতেছে এবং এটি তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ চেক করে প্রকাশ পেয়েছে। অনুব্রতর লটারি জয় প্রথম আমাদের নজরে আসে জানুয়ারিতে। সেই সময়ে রাজ্যের একটি জনপ্রিয় লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে অনুব্রতের নাম ও ছবি উঠেছিল এক কোটি টাকার লটারি বিজয়ী হিসেবে। যদিও অনুব্রত নিজে কখনও লটারি জেতার কথা স্বীকার করেননি।”
ঘটনার তদন্তে নেমে বোলপুরে ‘রাহুল লটারি’ নামে একটি লটারির দোকানে হানা দেয় সিবিআই। এমনকি দোকানের মালিক শেখ আইনুল এবং আরও দুই লটারি ব্যবসায়ীকে শান্তিনিকেতনের রতনকোঠি এবং সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এছাড়াও আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা দাবী করেছেন যে অনুব্রত এবং সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ চেক করার পরে, তারা জানতে পেরেছেন যে তারা আরও তিনটি লটারি জিতেছে। সেই 3টি লটারির টিকিটও বোলপুর ও লাগোয়া এলাকা থেকে কেনা হয়েছিল।
সিবিআইয়ের দাবী, সেই লটারি থেকে মোট 25 লক্ষ 26 লক্ষ এবং 51 লক্ষের মধ্যে 26 লক্ষ সুকন্যার অ্যাকাউন্টে এসেছে। একই সময়ে, সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, 2019 সালে লটারির মাধ্যমে অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে 10 লক্ষ টাকা জমা হয়েছিল। তবে অনুব্রত সরাসরি লটারি নাকি অন্য কারও জেতার টিকিট কিনেছেন তা স্পষ্ট নয়।
Facebook Comments