এগরার পর বজবজ, বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন। বেআইনি বাজি কারখানার গোডাউনে আগুন লাগে। স্থানীয়দের দাবী, প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটো ইঞ্জিন। এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বজবজ থানার অন্তর্গত নন্দরামপুর দাসপাড়ায় জয়দেব ঘাঁটির বাড়ির ছাদে আগুন লেগে হঠাত্ই ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয়।ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন জনের; পম্পা ঘাঁটি (৪৫), তাঁর মেয়ে জয়শ্রী ঘাঁটি (১০) ও তার মা যমুনা দাস (৬৫)।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। কিন্তু রাস্তা অতিরিক্ত সরু হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তারা কেবল কুলিং প্রসেস করেন। দমকল আসার আগেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। তাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়দের দাবী, বাড়িটিতে বাজি তৈরির কাজ চলত, উপরের ঘরে গুদামে বাজিয়ে রাখা হত বলে খবর। যদিও দমকল বাহিনীর দাবী, কারখানায় বাজির মশলা মজুদ ছিল না।
প্রশাসনের দাবী, এটা বাজির কারখানা নয়। ডিএফও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, টিকে দত্ত বলেন, ‘এটা বিস্ফোরণ নয়, আগুন। কোনও কারণে ঘরে আগুন লেগে যায়। ঘরের সামগ্রী দেখা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাজির কারখানা বোঝা যায়নি। সকালের আগে কিছু বলা যাবে না। কীভাবে আগুন লেগেছে তাও তদন্ত করে দেখা হবে।’
জেলার চিংড়িপোতা এলাকা, যেখানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, পটকা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। অনেকেই বাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফলত এই এলাকায় বাজি তৈরি বা বাজি মজুদের ঘটনা থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে (১৬ মে), পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় একটি বেআইনি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে। বেআইনি পটকা কারখানায় বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে পুরো ভবনটি ভেঙে পড়ে। এই বেআইনি পটকা তৈরির কারখানাটি একটি আবাসিক এলাকায় ছিল।
Facebook Comments