রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শুক্রবার সকালে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি করেন। রাজ্যপাল বলেছেন যে, “জি-২০ বৈঠকে ভারত তার সেরা ধারণাগুলি উপস্থাপন করবে। আমাদের উদ্দেশ্য হল বিশ্বের কাছে ভারতের সেরাটা দেখানো। গঙ্গা আরতির উদ্দেশ্য হল জি-২০ সম্মেলনের সাফল্য, দেশের সাফল্য এবং বাংলার সাফল্য কামনা করা, আমি আজ প্রার্থনা করেছি।”
প্রসঙ্গত, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার নৈশভোজে যোগ দিতে আজ শুক্রবার দিল্লী যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যার মধ্যে দিল্লী বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। সূত্রের খবর, বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য দিল্লী বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই কারণে একদিন আগেই দিল্লী আসছেন মমতা।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লীর চাণক্যপুরীতে নতুন বঙ্গভবনে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও নৈশভোজে দিল্লী যাচ্ছেন। তার উত্থানও হবে শুধু বঙ্গভবনে। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে, মমতা এবং রাজ্যপালকে একই জায়গায় রাখা হয়েছে, রাজ্য এবং রাজধানীর অভ্যন্তরে অনেক মহড়া শুরু হয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার। শেখ হাসিনা শনিবারের নৈশভোজে অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন। সেই নৈশভোজে মমতার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি-২০ বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য নেতাদের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্য, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।
উল্লেখ্য, সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানী দিল্লী সেজেছে কনের সাজে। প্রতিটি রাস্তা, বাড়ি, বড় হোটেল বিশিষ্ট অতিথিদের আতিথেয়তা রঙ্গিন পতাকা, তেরঙা আলোয় মোড়া। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন ছেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাজ্যের কিছু নেতা আসতে শুরু করেছেন, বাকিরা ধীরে ধীরে আসবেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আসবেন। এয়ার ফোর্স ওয়ান জার্মানির রামস্টেইনে জ্বালানি ভরার পর নয়াদিল্লীতে থামবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লোককল্যাণ মার্গে তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর নৈশভোজে বাইডেন ও মোদীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে।
Facebook Comments