পশ্চিমবঙ্গের মালদায় চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের নয় দিন পর আইসি সহ চার পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার নয় দিন পর, মালদা জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা থানার ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট থানার ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং এএসআই সঞ্জয় সরকারকে ক্লোজ করা হয়েছে।
মালদহের পাকুয়াহাটে, চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে ‘স্ট্রিপিং’ এবং মারধরের ঘটনায় পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে কেন গ্রেফতার হলেন দুই ‘ভিকটিম’?
এর পরে, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর শুক্রবার চার পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘ক্লোজ’ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনের দায়িত্বে ‘অবহেলার’ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার রাতে চোর সন্দেহে দুই নারীকে উলঙ্গ করে মারধরের বিষয়টি অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনগোলায় সাপ্তাহিক বাজারে গিয়েছিলেন দুই মহিলা। দর কষাকষির সময় তিনি শস্য বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ধরে মারধর করে। ঘটনার পরপরই পুলিশ মামলা দায়ের করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে তিন নারীও জড়িত ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ ‘ভিকটিম’ দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে।
লিঞ্চিংয়ের ঘটনার 24 ঘন্টা আগে বিজেপির আন্দোলনের সময় বামনগোলার নালাগোলা চৌকিতে ভাঙচুরের অভিযোগে উভয় ‘ভুক্তভোগী’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রতিপক্ষরা বলেছেন, পুলিশ তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় উভয় ভুক্তভোগীর নাম কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তা নিয়েও রাজ্য মহিলা কমিশন প্রশ্ন তুলেছিল। নির্যাতনের সময় নারীদের পাশে দাঁড়ানো নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য মহিলা কমিশনও এই সমস্ত বিষয়ে রিপোর্ট পুলিশকে পাঠিয়েছে।
সূত্রঃ TV9
ছবিঃ সংগৃহিত
Facebook Comments