রোড প্যারেড দিল সম্প্রীতির বার্তা। ‘একতাই সম্প্রীতি’ এর একটি মূকনাট্য রাখা হয়েছিল। কলকাতায় অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে বড় অক্ষরে লেখা ‘ধর্ম সবার, উৎসব সবার।’ টেবিলে দক্ষিণেশ্বর মন্দির, নাখোদা মসজিদ এবং চার্চের ছবি ছিল। মূকনাট্যটি বহু ধর্মের প্রতীকে সজ্জিত ছিল। ছবিটা একটা গাছের। যার নিচে লেখা ‘ঐক্য বৃক্ষ’। মূকনাট্যে বিভিন্ন ধর্মের শিশুদের মুখ ব্যবহার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ দ্বারা মূকনাট্যটি তৈরি করা হয়েছে।
অনেক সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো ছিল। রাজ্য সরকারের স্কিম থেকে পাঠশ্রী থেকে লক্ষ্মী ভান্ডার পর্যন্ত সমস্ত সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো প্যারেডে ছিল। এই প্রথম সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীরাও কুচকাওয়াজে অংশ নেন। লক্ষ্মী ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধাভোগীরাও অংশ নেন। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রেড রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও এসেছিলেন। তিনি পতাকা উত্তোলন করেন।
দক্ষিণ বঙ্গ
বাংলার অন্যান্য জেলার কথা বললে, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন সকাল ৯টায় জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাব স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। এরপর দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ এবং জলপাইগুড়ি পৌরসভাতেও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জলপাইগুড়িতে সম্মানের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ঝাড়গ্রাম
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলায় 75তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল। জেলার মূল অনুষ্ঠান হল ঝাড়গ্রামের স্টেডিয়াম মাঠে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনীল আগরওয়াল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবারই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে স্টেডিয়াম মাঠে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষের। এ বারও ভিড় দেখা গেল ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে। দিনের কুচকাওয়াজে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়।
পূর্ব মেদিনীপুর
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় 75তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানবীর আফজাল। তমলুক রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবল মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ এবং স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। পতাকা উত্তোলনের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পূর্ব মেদিনীপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
হাওড়া
হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় 75তম প্রজাতন্ত্র দিবস ধুমধাম করে পালিত হল। উলুবেড়িয়া মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, উলুবেড়িয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং মহকুমার সাতটি থানার পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় পুলিশ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
হুগলি
হুগলি জেলায় 75তম প্রজাতন্ত্র দিবস মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল। জেলা সদর চুঁচুড়ার পূর্ব মাঠে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কুচকাওয়াজে অংশ নেন। পতাকা উত্তোলন করেন হুগলি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা আর্য। এর পাশাপাশি সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বসিরহাট
বসিরহাটেও পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষে বসিরহাট স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা কমিশনার। কুচকাওয়াজ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে বসিরহাট স্টেডিয়ামে ভিড় জমে যায়।
বাঁকুড়া
বাঁকুড়ায় ধুমধাম করে পালিত হল ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবস। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ কুচকাওয়াজেরও আয়োজন করা হয়। প্রশাসন ছাড়াও বাঁকুড়া জেলা পুলিশ, জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন ও সাংস্কৃতিক দল এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
Facebook Comments