নদিয়ায় বেথুয়াডহরি স্টেশনে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। লালগোলা লোকাল ট্রেনে ভাংচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ, যার জেরে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। নূপুর শর্মার মন্তব্যের রবিবার সংখ্যালঘুদের একটি মিছিল বের হয় নাকাশিপাড়া এলাকায়।
সেই মিছিল মেন রোডে উঠে নেতাজি স্ট্যাচু মোড়ে পৌঁছায় এবং ওখানেই পথ অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে ও মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন বেথুয়াডহরি স্টেশনে ঢুকে পড়ে। সন্ধ্যা ৬ টার কিছু পরের এই ঘটনা। তখন স্টেশনে রানাঘাট-লালগোলা লোকাল দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ, ঐ ট্রেনে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা আশেপাশের বাড়ি ও দোকানেও ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘আচমকাই উত্তেজিত একটি ভিড় চড়াও হয় দাঁড়িয়ে থাকা লালগোলা লোকাল ট্রেনে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়, অনেক ক্ষতি হয়েছে ট্রেনটির। কয়েকজন যাত্রী ও সামান্য চোট পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’
একলব্য চক্রবর্তী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জিআরপি, আরপিএফ নামানো হয়। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ রয়েছে, অপ্রীতিকর কোনো কিছু যাতে না ঘটে তার নজরদারি চলছে। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। তিনি জানান, ‘পরিস্থিতি ঠিকঠাক হলে ট্রেন চলবে।’ যদিও বিক্ষোভকারীরা কীভাবে স্টেশনের ঢুকল, ভাঙচুর করে আবার বেরিয়েও গেল, তা ঠিক জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
প্রসঙ্গত, নবী মহাম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কের জেরে এ রাজ্যের পরিস্থিতিও ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় চলছে তাণ্ডব। এরই মধ্যে হাওড়া ও মুর্শিদাবাদে উত্তেজনার জেরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এবার নদিয়ার নাম জুড়ল উত্তেজনা প্রবণ এলাকার তালিকায়।
Facebook Comments