এবার টাকার পাহাড় উদ্ধার হল হাওড়ায়। হাওড়ার শিবপুরে অভিজাত আবাসনে হানা দিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা উদ্ধার করে ২ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে সোনা, রুপো এবং হিরের গয়নাও পাওয়া যায়। শিবপুরের আবাসনে রাখা ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই টাকা ও গয়না। তবে গাড়ির মালিকের হদিশ মেলেনি।
গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে বিশাল অঙ্কের টাকা দেখে বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজারের গোয়েন্দারা হানা দেন হাওড়ার শিবপুরে এক অভিযান আবাসনে। অভিজাত আবাসনে এক ব্যবসায়ীর গাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সহায়তায় লালবাজারের গোয়েন্দারা আবাসনে ঢুকে যৌথ অভিযান চালায়। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ও শিবপুর থানার পুলিশও ছিল এই অভিযানে। গ্যারেজে থাকা গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু-কোটি টাকা, বহুমূল্য সোনা, রূপো ও হিরেরে গয়না। এছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মিলেছে ২০ কোটির হদিশ।
ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে ওই গাড়িটি ব্যবহার করতেন। তাঁর অ্যাকাউন্টেই ওই বিশাল অঙ্কের টাকা মেলে। আর গাড়িটি রয়েছে তাঁর ভাইয়ের নামে। এখনও এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি। নগদ উদ্ধার হওয়া টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোথা থেকে ওই বিপুল পরমাণ টাকা ও গয়না এল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবপুরের বাসিন্দা জৈনিক শৈলেঝ পাণ্ডের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা রাখা অভিযোগ করা হয় লালবাজার গোয়েন্দা দফতরে। তারপরই যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার সকালে যখন হানা দেয় গোয়েন্দা ও স্থানীয় পুলিশের একটি দল, তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ির সামনে ওই ব্যক্তির গাড়ি দাঁড় করানো ছিল গ্যারেজে। গ্যারেজে থাকা সেই গাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অবাক। গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। গুনে দেখা যায়, টাকার পরিমাণ ২ কোটি। সেইসঙ্গে প্রচুর গয়নাও ছিল গাড়ির ভিতরে। সোনা, রূপো তো বটেই, হিরের গয়নাও উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের একাংশ আবার নিশ্চিত করে বলছে না যে, ওগুলি হিরের গয়না. তা পরীক্ষা করেই বলা সম্ভব হিরে কি না। গোয়েন্দারা ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে।
Facebook Comments