লোকসভা নির্বাচনের আগে মাস্টারস্ট্রোক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে ১০০ দিনের বকেয়া মজুরি নিয়ে রেড রোডের মঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মমতা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার আর কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য অপেক্ষা করবে না। রাজ্যের ২১ লক্ষ মানুষ যাদের 100 দিনের বেতন পাওনা রয়েছে নবান্নের দ্বারা পরিশোধ করা হবে। এ দিন মমতা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি বকেয়া বেতন ২১ লাখ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আজকের ঘোষণা নিঃসন্দেহে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মাস্টারস্ট্রোক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের জন্য সরকারকে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, এ দিন ঘোষণা করে এক ঢিলে বহু নিশানা ছুড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য মূলত দুটি। প্রথমত, কাজ শেষ হওয়ার পরেও মজুরি বন্ধ রাখা হয়। দুই, কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছর ধরে কোনো টাকা পাঠায়নি, তাই মনরেগা কাজ থমকে আছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। মমতা শনিবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বকেয়া টাকার জন্য তার এবং তার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ১০০ দিনের কাজের মতো আবাসন প্রকল্প, রাস্তা প্রকল্পও তালিকায় রয়েছে।
শনিবার, মমতার প্রতিবাদ মঞ্চে ১০০ দিনের কাজ থেকে ‘বঞ্চিত’ শ্রমিকদের সমাবেশ হয়েছিল। মমতা তাকে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি আমার কাছে কি চাও?” উত্তর এল, লড়াই। তখন মমতা বললেন, ‘ঝগড়া হবে। লড়াই চলবে। একটা খেলা হবে। কিন্তু টাকাটা আমি দেব। আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লাখ লোকের বকেয়া বেতন তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাব।
একইসঙ্গে মমতা বলেন, ১১ লাখ বাড়ি এখনও অনুমোদন হয়নি। মমতার কথায়, “আজকে আবাসন নিয়ে কথা বলব না। উপযুক্ত সময়ে আবার বলব। বিশ্বাস রাখুন, আমরা ভিক্ষা চাই না, জিততে চাই না। কিন্তু এত বড় টাকা আসবে কোথা থেকে? মঞ্চ থেকেই এর জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, এটা জনগণের টাকা, জমির টাকা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন বছর ধরে কর্মীদের 100 দিনের মজুরি দেয়নি কেন্দ্র। মমতা বলেন, বাংলা সরকার সেই অধিকার দেবে।
Facebook Comments