পূর্ব ভারতে প্রথমবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘ফায়ার এবং সেফটি’-র ওপর প্র্যাকটিকাল প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রিস্টিন স্কিলপাওয়ার আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিপ্লোমা ইন ফায়ার এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি’-র কোর্সের সূচনা করল পার্ক হোটেলের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে। ১২মাসের এই কোর্সটির জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে ২৫,০০০টাকা ফি বাবদ জমা করতে হবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে একটি ক্লাসে ৬০জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করানো হবে।
দক্ষ কর্মীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ‘ফায়ার অ্যান্ড সেফটি’-র ওপর এই কোর্সটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভারত তথা বিদেশে প্রতিবছর আনুমানিক এক লক্ষেরও বেশি দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হয় আগুন থেকে ঘটতে পারে এমন ধরণের বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এই ক্ষেত্রে চাকরির বিভিন্ন রকমের সুযোগ রয়েছে যেমন: অগ্নিনিরোধে নিরাপত্তার চাকরিতে ৮০%, ফায়ার ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরিতে ১০-১৫% এবং বাকি ৫% অগ্নিনির্বাপকের কাজে। এছাড়াও তেল ও গ্যাস সেক্টর, পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স, বহুতল, শপিং মল, ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন ইত্যাদি- ক্ষেত্রেও ‘ফিল্ডে’ অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের একান্তই প্রয়োজন প্রতিদিন বহুমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। তা ছাড়াও আজকের দিনে এই কোর্সের প্রাসঙ্গিকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের শহরের বুকে ঘটে যাওয়া ক্রমবর্ধমান অগ্নিবিপর্যয় জানান দিয়ে যাচ্ছে।
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে গন্যমান্য অতিথি-দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভা-র সাংসদ নাদিমুল হক, টিএমসির সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সোফিয়া খান, ম্যাকাউট-এর সিসিপিটিআর সেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় এবং ম্যাকাউট-এর সিসিপিটিআর সেলের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর ড. প্রদীপ চক্রবর্তী প্রমুখ।
বরেন্দ্র মোহন সেন, প্রিস্টিন স্কিলপাওয়ার-এর উপদেষ্টা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর এবিষয়ে বলেন, “প্রিস্টিন-এর উদ্যোগে আর ম্যাকাউটের সহযোগিতায় এই ধরনের কোর্স চালু হওয়া সত্যিই একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা পূর্বভারতে। অগ্নিনির্বাপক ক্ষেত্রের চাকরি প্রায়ই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অথচ একটি মহৎ পেশা। মানুষের জীবন বাঁচানো সেই সঙ্গে নিজেকে বাঁচানো তাও আবার আগুনের সঙ্গে লড়াই করে অন্ত্যন্ত কঠিন, যার জন্য প্রয়োজন উচ্চমানের দক্ষতা, বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং শারীরিক সুস্থতারও। আমরা আশা করি পিএসপি-এর এই উদ্যোগ সঠিক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বোপরি শিক্ষা নিশ্চিত করবে।”
Facebook Comments