হাবিবুর রহমান মল্লিক : সন্ত্রাস মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে সমস্ত জাতিকে ভেদাভেদ ভুলে এক হওয়ার ডাক দিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। সোমবার ফুরফুরা শারিফ আহালে সুন্নাতুল জামাতের সাঁকরাইল থানা কমিটির ব্যবস্থাপনায় পীর আল্লামা সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী (রহঃ)-র স্মরনে আয়োজিত এক দোয়ার মজলিস ও প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় ৫০০ দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদানও করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠনের কর্নধার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা সম্পাদক হাজি ইব্রাহিম দর্জি, ডোমজুর থানা কমিটির সম্পাদক মাওঃ আফতাবউদ্দিন মন্ডল, উলুবেড়িয়া থানা কমিটির সম্পাদক ডাঃ আফতাব উদ্দিন, সাকরাইল থানা কমিটির সভাপতি মাওলানা মতিউর রহমান, সম্পাদক সেখ নাজিম উদ্দিন সহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।সারেঙ্গা সিনিয়ার মাদ্রাসাকে সরকারি অনুমোদন করার পাশাপাশি সাকরাইল এস.টি. মল্লিক হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিষ্টে রুপান্তরিত করার দাবি জানান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসা গফলতির কারণে মৃত ফুলসুরা খাতুনের মুত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তসহ দোষীদের কঠোর শাস্তির আবেদনও করেন তিনি। সর্বপরি সাঁকরাইল হল জরি শিল্প ও দর্জি শিল্পর আঁতুর ঘর। তাই উভয় শিল্পের দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের সার্বিক উন্নয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ”সরকার আমাদের দাবি দ্রুত পূরন করলে তাকে সাধুবাদ জানাবো, না হলে দাবী আদায়ের জন্য বৃহৎ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে উত্তর প্রদেশে জাতীয় পতাকা উত্তলনকে কেন্দ্র করে বিচ্ছন্নতাবাদীদের সাথে বিরোধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বন্দেমাতারাম না বলাতে যদি মুসলিমদের দেশদ্রোহী সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাহলে নেতাজী, গান্ধিজী, নেহেরুজী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে আগে দেশদ্রোহী ঘোষনা করা হোক, কারণ তাঁরা কোনো দিন বন্দেমাতারাম বলেননি, তারা দিতেন মুসলিমদের দেওয়া ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান। তাই বলবো সোনার ভারতকে ছারখার করে দেবার যে চক্রান্ত চলছে তা হতে না দিয়ে আসুন সকলে হাতে হাত মিলিয়ে তা প্রতিরোধ করি। নতুন করে শপথ নিই পীর আবুবকর সিদ্দিকী(রহঃ), মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নেতাজী, গান্ধিজী, রামকৃষ্ণ যে ভারতের স্বপ্ন দেখতেন তা গড়ে তোলার।”
ছবি সৌজন্যে- হাবিব মল্লিক
Facebook Comments