লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরদিনই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। দুষ্কৃতি, তাণ্ডব, বোমাবাজি, গুলি, ভাঙচুর, বাড়িতে আগুন, রাস্তা অবরোধ শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর রাজনৈতিক দলগুলোর দিকেই। রাজ্যের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড়ে তৃণমূলপ্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর জয়ের পরই বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়ে যায় দুষ্কৃতি তাণ্ডব। তৃণমূলের আরাবুল বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই হামলার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নীরব দর্শক হয়ে থাকার অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমডাঙা থানা এলাকায়। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমডাঙায় হামলার শিকার হয়েছেন তৃণমূল সমর্থকেরা। অভিযোগ, সিপিএমের লোকজন রাতারাতি বিজেপি হয়ে তৃণমূলের ওপর হামলা চালিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল আমডাঙা।
তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে কুচবিহারের তুফানগঞ্জ এবং বাঁকুড়ার শালতোড়া অঞ্চলেও। বর্ধমানের কালনা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এক বিজেপি কর্মীকে, এমনই অভিযোগ এনেছেন তিনি। এখানে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
এছাড়া রাজনৈতিক হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে উত্তপ্ত কুচবিহারের সিতাই, মাথাভাঙা এবং শীতলকুচিতে। ব্যাপক গণ্ডগোলের ঘটনা শোনা যাচ্ছে উত্তপ্ত পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহার এবং পাট সাতরা গ্রামেও। পুরুলিয়াতে একটি শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটলেও তা কী কারণে হয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments