তাজমহলের সৌন্দর্য রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এর আগেই উত্তর প্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। তবে সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ সরকারকে আরও কিছুটা সময় দিল আদালত। এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ালো সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, আগামি ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রের কাছে জমা দিতে হবে উত্তর প্রদেশ সরকারকে।
কিছুদিন আগেই পরিবেশতত্ববিদ এম সি মেহতা একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। আবেদন পত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানান, তাজমহল চত্তরের সবুজের পরিমান কমছে এবং তাঁর প্রভাব পড়ছে যমুনার প্লাবনভূমিতেও। যমুনার স্রোতহীন নোংরা জন্য তাজমহলেরও ক্ষতি হচ্ছে।মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ সরকার শীর্ষ আদালতকে জানায়, গত মাসের ঘোষণা অনুযায়ী আগ্রাকে হেরিটেজ সিটি হিসাবে ঘোষণা করা কঠিন হবে। এতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে জানায়, তাজমহলের আশেপাশের এলাকার কিছু অংশ হেরিটেজ হিসাবে চিহ্নিতকরণের কথা। উত্তরে সরকার জানায়, আমহেদাবাদের একটি সংস্থা এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।গত মাসের শুনানিতে সরকারে পক্ষের উকিল ঐশ্বর্য ভাটি এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, স্কুল অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার থেকে একটি টিম এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য তৈরি করেছে এবং সব সমস্যার মোকাবিলার জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনাও করছে।
এর আগেও তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশ সরকার এবং তাজ ট্রাপিজিয়াম জোন (TTZ) কর্তৃপক্ষকে তাজমহলের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারার জন্য সমালোচনা করে আদালত। আদালত জানায়, বিশ্বের আটটি আশ্চর্যের অন্যতম এই সৌধটির সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারছে না সরকার। প্রসঙ্গত, ফিরোজাবাদ, মথুরা, হাথরাস এবং এটাহ জুড়ে বিস্তৃত এই তাজ ট্রাপিজিয়াম জোন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। তবে তাজমহলের সুরক্ষার বিষয়ে যে খসড়া পত্র দাখিল করে উত্তর প্রদেশ সরকার, সেখানে দেখা যায় ASI এর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও পরামর্শই করেনি উত্তর প্রদেশ সরকার। এতে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপক চাপের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য সরকারের উপর।
Facebook Comments